অনেক অনেক বছর পর ছোট বেলার বন্ধুকে দেখলে ক'জন চিনতে পারে? অদিতি কিন্তু ঠিকই চিনতে পেরেছিল। মাহিন ছেলেটা ঠিক আগের মতই আছে। দেখা মাত্রই সেই আগের মতই উচ্ছ্বাস! ছেলেটার হাসি বড্ড প্রানবন্ত, বড্ড সুন্দর!!
মাহিনেরও অদিতিকে চিনতে এতটুকু কষ্ট হয়নি। স্কুলের সেই ছোটখাটো মিষ্টি মেয়েটা এখন কত বড় হয়ে গেছে! কি যেন একটা আকর্ষন আছে ওর মধ্যে, চোখ ফেরানো যায় না!!
দুজনেই কথা বলতে এগিয়ে গিয়েছিল। এভাবে হঠাৎ দেখা হওয়াটা অনভিপ্রেত ছিল। কিন্তু কেমন যেন একটা ভাল লাগা কাজ করছিল।
চা খেতে খেতে অনেক গল্প হলো সেদিন। মাহিন অদিতিকে জানাল ও মাইক্রোবায়োলজি নিয়ে পড়ছে। অদিতি জানাল ও জার্নালিজম বেছে নিয়েছে। পুরনো দিনের অনেক গল্প জমে ছিল। দু'জনই সেদিন প্রাণ খুলে কথা বলছিল। হয়ত ওই মুহুর্তটার জন্যই এত গল্প জমে ছিল!!
সেদিনকার মত দু'জন বিদায় নিল। এক অপার্থিব ভাল লাগায় ডুবে ছিল অদিতি। যাওয়ার আগে তাই আরেকবার ফিরে তাকানোর লোভটা সামলাতে পারে নি।
এভাবেই শুরু হয় ওদের গল্পটা। পৃথিবীর অজস্র সাধারণ ভালবাসার গল্পগুলোর মতই একটি গল্প৷ তাতে কিছু যায় আসে না। কেননা ভালবাসার ব্যাপারটাই শাশ্বত, চিরন্তন।
আর তাই অন্যসব ভালবাসার গল্পের মত ওদেরও মান অভিমান হয়।

কখনো মাহিনের কপট রাগ!
কখনো অদিতির একরাশ অভিমান
রাগ যারই হোক না কেন, দিনশেষে মাহিনকেই হতে হয় রাগ ভাঙানোর শিল্পী।
অদিতি সব সময়ই বলে, ওর যত রাগই হোক মাহিন হাসলে ও আর রাগ করে থাকতে পারে না। মাহিনও এটা বুঝে। আর তাইতো এটাই ওর মোক্ষম অস্ত্র।
এভাবেই গল্পের শাখা-প্রশাখার বিস্তার ঘটে। সৃষ্টি হয় একেকটি সাধারণের মধ্যেও অনন্য সাধারণ রুপকথার।

Tale of Love
Gepubliceerd:

Tale of Love

Gepubliceerd:

Creatieve disciplines